|
শুষ্ক ঠোঁট |
শীতের সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে ফলে ত্বক ও ঠোঁট হয়ে পড়ে শুষ্ক। এতে ত্বক হারায় সজীবতা। ফাটা ও অপরিষ্কার ঠোঁট নিজেরও অস্বস্তির কারণ। তাই এই সময়
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি ঠোঁটের জন্যও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। একটু খেয়াল রাখলে এবং সামান্য যত্ন নিলেই এ সময়ও ঠোঁট সুন্দর রাখা যায়।
ঠোঁটের যত্নে কিছু পরামর্শ -
- শুষ্ক ঠান্ডা থেকে দূরে থাকুন। যখন ঠান্ডা বাতাস থাকে অথবা খুব তীব্র শীত পড়ে তখন প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের না হওয়াই ভালো, ঘরেই থাকার চেষ্টা করুন।
- বাইরে গেলে মুখের উপরিভাগে স্কার্ফ বা কোনো কাপড় ব্যবহার করতে পারেন; যাতে এটি আপনার ঠোঁটকে শীতের হাওয়া থেকে আড়াল করে রাখে।
- জিহ্বা দিয়ে কখনোই ঠোঁট ভেজাবেন না, এভাবে ঠোঁট ভেজালে ঠোঁট আরও বেশি ফাটবে।
- সূর্যের আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ঠোঁটকে বাঁচাতে লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি এমন লিপবাম ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
- লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক বেছে নিন।
- যদি ম্যাট লিপস্টিক লাগাতেই চান, সে ক্ষেত্রে সম্ভব হলে প্রথমে তুলা বা টিস্যুর সাহায্যে সামান্য একটু লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন এবং তারপর লিপস্টিক লাগান।
- শীতে অনেকের ঠোঁট কালো হয়ে যায় এবং খুব বেশি ফেটে যায়। তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতেই নিতে পারেন বাড়তি যত্ন। গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে মধু বা মাখন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন সারা রাত। বিট-রুটের রসের সঙ্গেও গোলাপের পাপড়ি ও মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে পারেন সারা রাত।
- শীতে ঘরের ভেতর শুষ্ক থাকে এজন্য একটি আর্দ্রতাকারক যন্ত্র (হিউমিডিফায়ার) কিনতে পারেন। হিউমিডিফায়ার আপনার ঘরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেবে।
- ফাটা ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন। চেষ্টা করুন ফাটা ঠোঁটকে যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখতে। অবশ্যই ঠোঁট ফাটা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শুষ্ক বাতাস থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখুন। ফাটা ঠোঁটে কখনো কখনো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে, তাই ঠোঁট ফাটার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
No comments:
Post a Comment