Pages

Friday, December 13, 2013

ফোড়া, ফুসকুড়ি, বিষফোড়া কি?প্রতিকারে করণীয়

ফোড়া, ফুসকুড়ি, বিষফোড়া কি
ফোড়া হলো ত্বক এবং এর নিচের অংশে সংক্রমণের কারণে তৈরি জমানো পুঁজ। শরীরে এখানে-সেখানে অনেকের ফোড়া হতে দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের। ত্বকের নিচে প্রথমে সংক্রমণ হয়, চারপাশের ত্বক লালচে বা গোলাপি হয়ে ওঠে, ব্যথা হয় এবং স্পর্শেই ব্যথা বাড়ে। তারপরে এই  ফুলে ওঠা লালচে বা বাদামি বিষফোড়ার মধ্যে হলদে বা সাদাটে রঙের পুঁজ জমে, তখন চিকিৎসার ভাষায় একে অ্যাবসেস বলে।

ফোড়া যদি হয় তবে সাধারণ কয়েকটি পরামর্শ 

১। জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
২। একটা পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে, চিপে নিয়ে হালকাভাবে ফোড়ার ওপর সেকা দিতে হবে ফলে ফোড়াটি গলে যেতে পারে।
৩। জীবাণুনাশক মলম ফোড়ার ওপর এবং চারপাশে লাগিয়ে নিন।
৪। ফোড়া পুরোপুরি পাকার আগেই জোর করে নিজেই ফোড়া গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটা সাধারণ বিষফোড়া সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় নিজেই গলে যায়। গলে যাওয়ার পর একটা উষ্ণ, পরিষ্কার কাপড়ের খণ্ড বা তুলা বা গজ দিয়ে চেপে ধরে পুঁজ বের করে আনুন। এবার অ্যান্টিবায়োটিক মলম হালকাভাবে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন।
৫। ফোড়া ধরার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নেবেন। ব্যবহার্য টাওয়েল, পোশাক-আশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।
৬। যদি প্রায়ই মুখে-গালে ফোড়া হয়, তবে দাড়ি কামানোর পর অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন?

বারবার এবং একইসঙ্গে অনেক ফোড়া হলে বা জ্বর থাকলে এবং ডায়াবেটিস বা জটিল কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফোড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের আগে পুঁজ বের করে নিতে হয়।

সূত্র - প্রথম-আলো 

2 comments: