ত্বকেই হোক আর মেজাজে হোক রুক্ষতা কারও কাম্য নয়। তবে এ মৌসুমে ত্বকের শুষ্কতা আর ফাটার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচারও যে জো নেই। আমাদের নিজেদের অবহেলার জন্যই শীতের এই সময় শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তাই শীতের শুরু থেকেই পায়ের জন্য চাই বাড়তি পরিচর্যা।
হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, ‘শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক বেশি শক্ত। শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরও বেশি শক্ত হয়ে পড়ে। এ থেকেই শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তবে পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।’
পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে সব সময় বিউটি পার্লারে যেতে হবে, তা কিন্তু নয়। এই শীতে ঘরে বসেই আপনি পায়ের যত্ন নিতে পারেন। রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের কিছু পরামর্শ রইল।
হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, ‘শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক বেশি শক্ত। শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরও বেশি শক্ত হয়ে পড়ে। এ থেকেই শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তবে পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।’
পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে সব সময় বিউটি পার্লারে যেতে হবে, তা কিন্তু নয়। এই শীতে ঘরে বসেই আপনি পায়ের যত্ন নিতে পারেন। রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের কিছু পরামর্শ রইল।
- পা সব সময় পরিষ্কার রাখুন। ধুলাবালি পায়ের বড় শত্রু। তাই বাইরে থেকে ফেরার পর পা ধুতে দেরি করা যাবে না। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় পায়ে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগান। দিনের বেলা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে ধুলাবালি আটকানোর আশঙ্কা বেশি।
- গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা কোনো ভেজিটেবল অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।
- সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিন। রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পা ডোবানোর আগে পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষুন। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে। পায়ে কোনো ধাতব স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না।
- পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অন্যদিকে ঠান্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।
- পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।
- পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে মিনিট বিশেক লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
- পায়ের মরা ত্বক তুলে ফেলতে চালের গুঁড়া ও কাঁচা দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।
- ত্বকের উপকারের জন্য অ্যালোভেরার রস খেতে পারেন। এর পাশাপাশি পায়ে ঘষলেও উপকার পাবেন।
- মনে রাখবেন জুতার তলা শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।
- যাঁরা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তাঁরা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন। এ ছাড়া পা শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। ভেজা পা ভালো করে মুছে জুতা বা মোজা পরুন। প্রতিদিন এক জুতা না পরে বদলে পরুন।
- পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। আবার অনেকেরই পা অতিরিক্ত ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment