সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, প্রতি দিনের পাওয়া ও দেয়া একটি চুম্বন আপনাকে সেই দিনের জন্য ডাক্তারের নিকট যাওয়া হতে দূরে রাখবে।”
দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বন শুধু প্রণয় ঘটিত বন্ধনেই মানুষকে বাঁধেনা স্বাস্থ্য রক্ষায়ও অত্যন্ত উপকারি প্রভাব বিস্তার করে থাকে যা শুধু আপনার জীবন চলার পথে ভালো বেনিফিটই দিয়ে যাবে। আর সেজন্যেই আমাদের আজকের এ আয়োজন।
আসুন জেনে নেই চুম্বনের নানান উপকারি দিকগুলো সম্পর্কেঃ
আপনার মেজাজ ঠান্ডা রাখতেঃ
চুম্বনের সময় আমাদের ঠোঁট লক হয়ে এলিভেটিস যে সেরোটোনিন নির্গত করে। যা আমাদের মেজাজ, অনুভূতি ও আবেগকে আলোড়িত করে মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধনের কারণ। আর চুম্বন করার সময় আমাদের শরীরের সর্বত্র এক ধরনের অনু ও রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পরে যা মস্তিষ্ককের খারাপ অনুভুতিকে দূর করে দ্বায়িত্ববোধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যা আপনার রাগ বা ক্ষোভকে ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ
একটি গভীর চুম্বন মুহূর্তের মধ্যে আপনার দেহকে পৃথিবীর বিশৃঙ্খলার বাহিরে নিয়ে মনকে শান্ত করে মানসিক প্রশান্তি বাড়িয়ে দেহের সকল স্ট্রেস রিলিজ করে। এছাড়াও স্ট্রেস বৃদ্ধি কারি হরমোন হিসেবে পরিচিত করটিসল মাত্রা কমিয়ে এনে শরীরের মানসিক চাপ কমায়। গভীর চুম্বন একই সময় মস্তিষ্কের উদ্দীপককারী এনজাইম এর মাত্রা পরিবর্তন করে শরীরের শান্তি ও মানসিক প্রশান্তির সৃষ্টি করে।
ত্বকের টোনারঃ
চুম্বন করার সময় আমাদের মুখের ৩৪টি এবং ১১২টি শরীরের পেশী স্থিতিহীন ভাবে কাজ করে। চুম্বন ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশী সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পেশীতে টক্সিন প্রবাহ বেরে যায় যা ত্বকের উৎকৃষ্ট টোনার হিসেবে কাজ করে। কাজেই বেশি বেশি করে প্রিয় মানুষকে চুম্বন করুন এবং ত্বক ভাল রাখুন।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করতেঃ
চুম্বন করার আপনি ডেন্টিস্টকে ১০০ হাত দূরে রাখতে পারেন। কারণ চুম্বনের সময় আমাদের মুখের ভেতরের লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, এই লালা ক্যভিটিজ, দাঁতের ক্ষয়, এবং প্লেক বিল্ড আপ করে। এবং ব্যাকটিরিয়া পরিস্কার করে দাঁতের ক্যভিটিজ কে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এলার্জি নিরাময় করবেঃ
চুম্বন মানব দেহের রক্তে এলার্জি মুক্তির জন্য দায়ী আইজিই এর অ্যান্টিবডি তৈরি করে। রক্ত প্রবাহে হিস্টামিনের অভাবে এলার্জির যেসব উপসর্গ দেখা দেয় যেমন হাঁচি এবং চোখ দিয়ে পানি পরা ইত্যদি। হিস্টামিনের অভাব জনিত এলার্জির এসব উপসর্গ হতে বেশি বেশি চুম্বন করার ফলে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যালোরি পোড়াতে সহায়কঃ
চুম্বন করার সময় আপনি অনুভব করে থাকবেন যে যখন আপনার ঠোঁট কাউকে স্পর্শ, তখন আপনার হৃদয়ের গতি বৃদ্ধি পায়। হয়তো চুম্বনের মুহূর্তে হৃদয়ের গতি লাফালাফি করে না, কিন্তু এটা স্পষ্টভাবে দ্রুত গতিতে বিট করে। আর হৃদয়ের এ দ্রুত গতি রক্তে বঢ়রহবঢ়যৎরহব এবং অন্যান্য নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসাবে পরিচিত বৃক্করসকে মুক্ত করে। এ বৃক্করস এর মধ্যে দিয়ে রক্ত বিশুদ্ধ হয় এবং দেহের ক্যালোরি পুড়াতে সাহায্য করে। ”ডঃ আলেকজান্ডার ডি ওয়াস” দ্বারা একটি সমীক্ষায় প্রমাণিত যে, ” ২০ সেকেন্ড দীর্ঘস্থায়ী একটি চুম্বন করলে, প্রতি মিনিটে ২-৩ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হয়।” অতএব মাত্র কয়েক সেকেন্ড চুম্বন করে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন আপনি।”যা আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
হৃদয় সুস্থ্য রাখতেঃ
চুম্বন আপনার হার্টকে উচ্চ রক্তচাপ এবং কম কলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। অবিবাহিত এবং বিবাহিত দম্পতিদরে মধ্যে একটি গবেষণায় দেখা যায়। চুম্বন করার সময় মানসিক চাপের ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে, যার বৃদ্ধি সম্পর্কে গবেষকরা সন্তুষ্টি দেখিয়েছেন, কারন এর দরূন কলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। হৃদরোগ জন্য সুপরিচিত ক্ষতিকর দিক হচ্ছে ট্রেস। অতএব চুম্বন আপনার রক্তচাপ এবং কলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে হার্ট- এর কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম স্থীর করে সুস্থ হৃদয়ের বন্দবস্ত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
আমাদের মুখের থুতুতে থাকা সোয়াপিং নামক জীবাণুগুলো যে প্রকৃতির প্রাকৃতিক টিকা অনেকেই তা জানেনা। চুম্বন করার সময় মুখে থুতু নিঃসরনের পরিমান বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের শরীরে আক্রমণকারি অসুস্থতা কে প্রতিরোধ করে রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে।
ব্যথা নিরাময় করেঃ
দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ব্যাক পেইন ২টা চুম্বন গ্রহণ করে দূর করে নিন। চুম্বন করার ফলে সৃষ্ট হরমোন আপনার শরীরের ব্যথা উপশম প্রাকৃতিক রসায়নিক উপাদান আফিমের চেয়েও শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
আপনার বয়স কমিয়ে দিবেঃ
প্রতিদিন সকালে আপনার বিদায় বেলার পাওয়া চুম্বন হতে ৫ বছর জীবন বাড়িয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই। এটা সত্যি , গবেষণায় দেখা গেছে যে, একসাথে বসবাসকারি বিবাহিত পুরুষদেরকে সকালে তাদের স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীকে বিদায় বেলা চুম্বন করতে দেখা যায় যা পুরুষদের আয়ূ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মহিলারা কষ্ট পাবেন না, এ পদ্ধতিটি আপনাদের জন্য প্রযোজ্য না হলেও এটা সত্য যে , যখন আপনার স্বামী বাড়িতে আসেন এবং আপনাকে গভীর ভাবে চুম্বন করেন তখন আপনার আয়ূও বেড়ে যাবে দ্বীগুণ হারে।
চুম্বন আপনাকে ভাল সঙ্গী বাছাই করতে সাহায্য করবে নৃতত্ববিদ ’হেলেন ফিশার’ বলেন “জীবনের সঙ্গী মূল্যায়নের হাতিয়ার হিসেবে চুম্বনকে আক্ষায়িত করেছেন।” তাই প্রিয় বন্ধুরা একান্ত কাছের মানুষকে গভীর ভাবে চুম্বন করে দেহের সকল রোগকে দূরে ঠেলে দীর্ঘ জীবন লাভ করুন।
সুত্র : ajker24
দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বন শুধু প্রণয় ঘটিত বন্ধনেই মানুষকে বাঁধেনা স্বাস্থ্য রক্ষায়ও অত্যন্ত উপকারি প্রভাব বিস্তার করে থাকে যা শুধু আপনার জীবন চলার পথে ভালো বেনিফিটই দিয়ে যাবে। আর সেজন্যেই আমাদের আজকের এ আয়োজন।
আসুন জেনে নেই চুম্বনের নানান উপকারি দিকগুলো সম্পর্কেঃ
আপনার মেজাজ ঠান্ডা রাখতেঃ
চুম্বনের সময় আমাদের ঠোঁট লক হয়ে এলিভেটিস যে সেরোটোনিন নির্গত করে। যা আমাদের মেজাজ, অনুভূতি ও আবেগকে আলোড়িত করে মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধনের কারণ। আর চুম্বন করার সময় আমাদের শরীরের সর্বত্র এক ধরনের অনু ও রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পরে যা মস্তিষ্ককের খারাপ অনুভুতিকে দূর করে দ্বায়িত্ববোধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যা আপনার রাগ বা ক্ষোভকে ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ
একটি গভীর চুম্বন মুহূর্তের মধ্যে আপনার দেহকে পৃথিবীর বিশৃঙ্খলার বাহিরে নিয়ে মনকে শান্ত করে মানসিক প্রশান্তি বাড়িয়ে দেহের সকল স্ট্রেস রিলিজ করে। এছাড়াও স্ট্রেস বৃদ্ধি কারি হরমোন হিসেবে পরিচিত করটিসল মাত্রা কমিয়ে এনে শরীরের মানসিক চাপ কমায়। গভীর চুম্বন একই সময় মস্তিষ্কের উদ্দীপককারী এনজাইম এর মাত্রা পরিবর্তন করে শরীরের শান্তি ও মানসিক প্রশান্তির সৃষ্টি করে।
ত্বকের টোনারঃ
চুম্বন করার সময় আমাদের মুখের ৩৪টি এবং ১১২টি শরীরের পেশী স্থিতিহীন ভাবে কাজ করে। চুম্বন ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশী সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পেশীতে টক্সিন প্রবাহ বেরে যায় যা ত্বকের উৎকৃষ্ট টোনার হিসেবে কাজ করে। কাজেই বেশি বেশি করে প্রিয় মানুষকে চুম্বন করুন এবং ত্বক ভাল রাখুন।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করতেঃ
চুম্বন করার আপনি ডেন্টিস্টকে ১০০ হাত দূরে রাখতে পারেন। কারণ চুম্বনের সময় আমাদের মুখের ভেতরের লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, এই লালা ক্যভিটিজ, দাঁতের ক্ষয়, এবং প্লেক বিল্ড আপ করে। এবং ব্যাকটিরিয়া পরিস্কার করে দাঁতের ক্যভিটিজ কে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এলার্জি নিরাময় করবেঃ
চুম্বন মানব দেহের রক্তে এলার্জি মুক্তির জন্য দায়ী আইজিই এর অ্যান্টিবডি তৈরি করে। রক্ত প্রবাহে হিস্টামিনের অভাবে এলার্জির যেসব উপসর্গ দেখা দেয় যেমন হাঁচি এবং চোখ দিয়ে পানি পরা ইত্যদি। হিস্টামিনের অভাব জনিত এলার্জির এসব উপসর্গ হতে বেশি বেশি চুম্বন করার ফলে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যালোরি পোড়াতে সহায়কঃ
চুম্বন করার সময় আপনি অনুভব করে থাকবেন যে যখন আপনার ঠোঁট কাউকে স্পর্শ, তখন আপনার হৃদয়ের গতি বৃদ্ধি পায়। হয়তো চুম্বনের মুহূর্তে হৃদয়ের গতি লাফালাফি করে না, কিন্তু এটা স্পষ্টভাবে দ্রুত গতিতে বিট করে। আর হৃদয়ের এ দ্রুত গতি রক্তে বঢ়রহবঢ়যৎরহব এবং অন্যান্য নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসাবে পরিচিত বৃক্করসকে মুক্ত করে। এ বৃক্করস এর মধ্যে দিয়ে রক্ত বিশুদ্ধ হয় এবং দেহের ক্যালোরি পুড়াতে সাহায্য করে। ”ডঃ আলেকজান্ডার ডি ওয়াস” দ্বারা একটি সমীক্ষায় প্রমাণিত যে, ” ২০ সেকেন্ড দীর্ঘস্থায়ী একটি চুম্বন করলে, প্রতি মিনিটে ২-৩ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হয়।” অতএব মাত্র কয়েক সেকেন্ড চুম্বন করে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন আপনি।”যা আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
হৃদয় সুস্থ্য রাখতেঃ
চুম্বন আপনার হার্টকে উচ্চ রক্তচাপ এবং কম কলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। অবিবাহিত এবং বিবাহিত দম্পতিদরে মধ্যে একটি গবেষণায় দেখা যায়। চুম্বন করার সময় মানসিক চাপের ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে, যার বৃদ্ধি সম্পর্কে গবেষকরা সন্তুষ্টি দেখিয়েছেন, কারন এর দরূন কলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। হৃদরোগ জন্য সুপরিচিত ক্ষতিকর দিক হচ্ছে ট্রেস। অতএব চুম্বন আপনার রক্তচাপ এবং কলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে হার্ট- এর কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম স্থীর করে সুস্থ হৃদয়ের বন্দবস্ত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
আমাদের মুখের থুতুতে থাকা সোয়াপিং নামক জীবাণুগুলো যে প্রকৃতির প্রাকৃতিক টিকা অনেকেই তা জানেনা। চুম্বন করার সময় মুখে থুতু নিঃসরনের পরিমান বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের শরীরে আক্রমণকারি অসুস্থতা কে প্রতিরোধ করে রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে।
ব্যথা নিরাময় করেঃ
দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ব্যাক পেইন ২টা চুম্বন গ্রহণ করে দূর করে নিন। চুম্বন করার ফলে সৃষ্ট হরমোন আপনার শরীরের ব্যথা উপশম প্রাকৃতিক রসায়নিক উপাদান আফিমের চেয়েও শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
আপনার বয়স কমিয়ে দিবেঃ
প্রতিদিন সকালে আপনার বিদায় বেলার পাওয়া চুম্বন হতে ৫ বছর জীবন বাড়িয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই। এটা সত্যি , গবেষণায় দেখা গেছে যে, একসাথে বসবাসকারি বিবাহিত পুরুষদেরকে সকালে তাদের স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীকে বিদায় বেলা চুম্বন করতে দেখা যায় যা পুরুষদের আয়ূ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মহিলারা কষ্ট পাবেন না, এ পদ্ধতিটি আপনাদের জন্য প্রযোজ্য না হলেও এটা সত্য যে , যখন আপনার স্বামী বাড়িতে আসেন এবং আপনাকে গভীর ভাবে চুম্বন করেন তখন আপনার আয়ূও বেড়ে যাবে দ্বীগুণ হারে।
চুম্বন আপনাকে ভাল সঙ্গী বাছাই করতে সাহায্য করবে নৃতত্ববিদ ’হেলেন ফিশার’ বলেন “জীবনের সঙ্গী মূল্যায়নের হাতিয়ার হিসেবে চুম্বনকে আক্ষায়িত করেছেন।” তাই প্রিয় বন্ধুরা একান্ত কাছের মানুষকে গভীর ভাবে চুম্বন করে দেহের সকল রোগকে দূরে ঠেলে দীর্ঘ জীবন লাভ করুন।
সুত্র : ajker24
No comments:
Post a Comment