নিয়মিত এবং পরিমিত পানি পান করাই কখনো কখনো শরীরের ওজন কমানোর বড় হাতিয়ার হতে পারে। পানি পান করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে স্বাভাবিক ওজন হ্রাস পাবে। আসুন দেখে নেয়া যাক এ সম্পর্কিত কিছু নিয়ামাবলি।
১. সারা দিনে পানি পান: দিনে পানি পান আপনাকে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার যেমন কফি বা স্নাক্স এর প্রয়োজন মিটিয়ে সজীব ও প্রফুল্লতা এনে দিবে। স্নাক্স জাতীয় খাবার কম খেয়ে পানি পান করা বেশী জরুরী। প্রতিদিন কম ক্যালরি সম্পন্ন খাবার আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
২. খাবার আগে এক গ্লাস পানি পান !: প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন এবং তা কমানোর বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়,প্রত্যেক খাবারের আগে যে এক গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়েছে এবং কম ক্যালরি সম্পন্ন খাবার খেয়েছে তার ওজন দ্রুত কমে গেছে।
► ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণের আগে পানি পানের অভ্যাস প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যে বেশী কার্যকর প্রভাব ফেলেছে ।যেকোনো বয়সের কেউ যদি খাবারের আগে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে তার শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাবেনা বরং কমে যাবে।
► কিছু সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রত্যেক খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পানের অভ্যাস শরীরকে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
৩. কোমল পানীয় ছেঁড়ে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন: সোডা ও অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় সহ অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত পানীয় ছেঁড়ে এক গ্লাস পানি পান আপনার শরীরকে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
► কম ক্যালরি সম্পন্ন পানীয় আপনাকে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন পানীয় থেকে ১০০ গুন বেশী ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৪. ঠাণ্ডা পানি আপনার পরিপাক ক্রিয়ার গতি বাড়াবে : পানি জনিত thermogenesis নামক এক গবেষণায় দেখা যায়, গবেষকরা পানি পানের সুফলে দেখতে পান পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে এটি শক্তি ব্যয় বৃদ্ধি সৃষ্টি করে শরীরের তাপমাত্রাকে উষ্ণ রাখছে।
► গবেষণায় আরো পাওয়া যায়, এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান পুরুষদের অতিরিক্ত চর্বি পুড়ে ফেলে এবং নারীদের শর্করা কমে যেতে সাহায্য করে।
► উঁচু বিপাক ক্রিয়ার প্রভাব পানি গ্রহনের প্রায় ১০ মিনিট পরেই শুরু হয় এবং পানের ৩০ - ৪০ মিনিট পরে সেটির প্রভাব লক্ষ করা যায়।
৬. পানি পানে লবনাক্ততা দূর করুন : আপনার খাবার টেবিল থেকে (টিনজাত লবণ বা হিমায়িত খাবার এবং লাঞ্চের মাংস) গ্রহণ খাদ্যে লবণের পরিমাণ হ্রাস করে। তাই দৈনিক পানি খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন কমে যায়।
৭. সংক্ষিপ্ত ফ্যাট খাবারের অভ্যাস: পানি ফ্যাট জাতীয় এবং নিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের বিষক্রিয়াগত এবং মাথাব্যথা বিশেষ ভাবে কমাতে সাহায্য করে। উল্লেখযোগ্য হারে তৈলাক্ত খাবারে সৃষ্টি হওয়া সমস্যাকে দূর করে।
► তাই শুরুতেই একটি নিয়ম করে নিতে পারেন, Sassy জল বিরোধী স্ফীত খাদ্যঅভ্যাস গড়ার। অন্তত ৪ দিনের জন্য এমন অভ্যাস গড়ে তুললে আসতে আসতে তা আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।
► পানি পান ছাড়াও, তরমুজ, সূপ, এবং সবুজ শাক সবজি জাতীয় খাবার স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীর কে উচ্চ ক্যালরি জমতে দেয়না, তাই এমন খাবার খাওয়ার পরিকল্পনাও করতে পারেন।
৮. সীমিত ক্যালরি জাতীয় খাবার এবং পানি পান: প্রতিদিন খাবার আগে ১৬ আউন্স পানি পান এবং দৈনিক ক্যালোরি ভোজনের (মহিলাদের জন্য ১২০০ এবং পুরুষদের জন্য ১৫০০) সীমাবদ্ধতা শরীরের ওজন হ্রাসে বিশেষ ভুমিকা রাখবে। হয়তো বা বছর খানেক পর সফলভাবে ওজন হ্রাস বজায় রাখতে সচেষ্ট হবেন।
পদ্ধতি ২: এক গ্লাস পানি নিন
১. খাবারের সাথে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি : কখনো আপনি উপবাস না থাকলে, ছোট্ট একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনার শরীরকে উপবাসী করে নিন।
► পানি পান করুন, বিশুদ্ধ পানি ! কোনো কোমল পানীয় না, কোনো এনার্জি ড্রিংকস নয়। শুধুই বিশুদ্ধ পানি।
২. ১ দিনের উপবাসঃ ৭ দিনের জন্য প্রস্তুত হোন ২৪ ঘন্টা উপবাস থেকে। যে সকল খাবার শরীরে অতিরিক্ত মেদ এনে দেয় যেমন কোমল পানীয়, চর্বি জাতীয় খাবার, ক্যাফেইন এগুলো ৭ দিন খাওয়া বাদ রাখুন। আসতে আসতে বাদ দেয়ার সময় টা বাড়িয়ে নিন। এবং নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩.অস্বাস্থ্যকর খাবার ছেঁড়ে চর্বিহীন প্রোটিন,সালাদ,এবং তাজা খাবার বেশী করে খান: পানি খাওয়ার অভ্যাস এমন ভাবে গড়ে তুলুন যাতে দিনে হাফ গ্যালন পানি খেতে পারেন।
৪. ভেষজ পরিপূরক খাবার গ্রহণ বা electrolytes মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে একটি নিরাপদ পানি পানের কথা বিবেচনা করুন।
পানি পানের এমন অভ্যাস, মিষ্টি জাতীয় খাদ্য অভ্যাস এবং পরিপূরক বা প্রাকৃতিক লবনাক্ত খাবার বর্জন করে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে।
সকালের খাবারের পর সবুজ চা এবং দুপুরের খাবারের পর কার্বনেটেড পানীয় পান। যেকোনো সময় আপনি অস্বস্তি বা ক্ষুধার্ত বোধ করলে এক গ্লাস সাধারন পানি পান করুন। এক্ষেত্রে তাজা লেবুর রস চিপে বা সবুজ চা বা অন্য কোনো ভিন্ন স্বাদের স্বাদ নিতে পারেন।
১. সারা দিনে পানি পান: দিনে পানি পান আপনাকে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার যেমন কফি বা স্নাক্স এর প্রয়োজন মিটিয়ে সজীব ও প্রফুল্লতা এনে দিবে। স্নাক্স জাতীয় খাবার কম খেয়ে পানি পান করা বেশী জরুরী। প্রতিদিন কম ক্যালরি সম্পন্ন খাবার আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
২. খাবার আগে এক গ্লাস পানি পান !: প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন এবং তা কমানোর বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়,প্রত্যেক খাবারের আগে যে এক গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়েছে এবং কম ক্যালরি সম্পন্ন খাবার খেয়েছে তার ওজন দ্রুত কমে গেছে।
► ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণের আগে পানি পানের অভ্যাস প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যে বেশী কার্যকর প্রভাব ফেলেছে ।যেকোনো বয়সের কেউ যদি খাবারের আগে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে তার শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাবেনা বরং কমে যাবে।
► কিছু সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রত্যেক খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পানের অভ্যাস শরীরকে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
৩. কোমল পানীয় ছেঁড়ে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন: সোডা ও অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় সহ অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত পানীয় ছেঁড়ে এক গ্লাস পানি পান আপনার শরীরকে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
► কম ক্যালরি সম্পন্ন পানীয় আপনাকে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন পানীয় থেকে ১০০ গুন বেশী ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৪. ঠাণ্ডা পানি আপনার পরিপাক ক্রিয়ার গতি বাড়াবে : পানি জনিত thermogenesis নামক এক গবেষণায় দেখা যায়, গবেষকরা পানি পানের সুফলে দেখতে পান পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে এটি শক্তি ব্যয় বৃদ্ধি সৃষ্টি করে শরীরের তাপমাত্রাকে উষ্ণ রাখছে।
► গবেষণায় আরো পাওয়া যায়, এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান পুরুষদের অতিরিক্ত চর্বি পুড়ে ফেলে এবং নারীদের শর্করা কমে যেতে সাহায্য করে।
► উঁচু বিপাক ক্রিয়ার প্রভাব পানি গ্রহনের প্রায় ১০ মিনিট পরেই শুরু হয় এবং পানের ৩০ - ৪০ মিনিট পরে সেটির প্রভাব লক্ষ করা যায়।
৬. পানি পানে লবনাক্ততা দূর করুন : আপনার খাবার টেবিল থেকে (টিনজাত লবণ বা হিমায়িত খাবার এবং লাঞ্চের মাংস) গ্রহণ খাদ্যে লবণের পরিমাণ হ্রাস করে। তাই দৈনিক পানি খাওয়ার ফলে দ্রুত ওজন কমে যায়।
৭. সংক্ষিপ্ত ফ্যাট খাবারের অভ্যাস: পানি ফ্যাট জাতীয় এবং নিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের বিষক্রিয়াগত এবং মাথাব্যথা বিশেষ ভাবে কমাতে সাহায্য করে। উল্লেখযোগ্য হারে তৈলাক্ত খাবারে সৃষ্টি হওয়া সমস্যাকে দূর করে।
► তাই শুরুতেই একটি নিয়ম করে নিতে পারেন, Sassy জল বিরোধী স্ফীত খাদ্যঅভ্যাস গড়ার। অন্তত ৪ দিনের জন্য এমন অভ্যাস গড়ে তুললে আসতে আসতে তা আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।
► পানি পান ছাড়াও, তরমুজ, সূপ, এবং সবুজ শাক সবজি জাতীয় খাবার স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীর কে উচ্চ ক্যালরি জমতে দেয়না, তাই এমন খাবার খাওয়ার পরিকল্পনাও করতে পারেন।
৮. সীমিত ক্যালরি জাতীয় খাবার এবং পানি পান: প্রতিদিন খাবার আগে ১৬ আউন্স পানি পান এবং দৈনিক ক্যালোরি ভোজনের (মহিলাদের জন্য ১২০০ এবং পুরুষদের জন্য ১৫০০) সীমাবদ্ধতা শরীরের ওজন হ্রাসে বিশেষ ভুমিকা রাখবে। হয়তো বা বছর খানেক পর সফলভাবে ওজন হ্রাস বজায় রাখতে সচেষ্ট হবেন।
পদ্ধতি ২: এক গ্লাস পানি নিন
১. খাবারের সাথে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি : কখনো আপনি উপবাস না থাকলে, ছোট্ট একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনার শরীরকে উপবাসী করে নিন।
► পানি পান করুন, বিশুদ্ধ পানি ! কোনো কোমল পানীয় না, কোনো এনার্জি ড্রিংকস নয়। শুধুই বিশুদ্ধ পানি।
২. ১ দিনের উপবাসঃ ৭ দিনের জন্য প্রস্তুত হোন ২৪ ঘন্টা উপবাস থেকে। যে সকল খাবার শরীরে অতিরিক্ত মেদ এনে দেয় যেমন কোমল পানীয়, চর্বি জাতীয় খাবার, ক্যাফেইন এগুলো ৭ দিন খাওয়া বাদ রাখুন। আসতে আসতে বাদ দেয়ার সময় টা বাড়িয়ে নিন। এবং নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩.অস্বাস্থ্যকর খাবার ছেঁড়ে চর্বিহীন প্রোটিন,সালাদ,এবং তাজা খাবার বেশী করে খান: পানি খাওয়ার অভ্যাস এমন ভাবে গড়ে তুলুন যাতে দিনে হাফ গ্যালন পানি খেতে পারেন।
৪. ভেষজ পরিপূরক খাবার গ্রহণ বা electrolytes মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে একটি নিরাপদ পানি পানের কথা বিবেচনা করুন।
পানি পানের এমন অভ্যাস, মিষ্টি জাতীয় খাদ্য অভ্যাস এবং পরিপূরক বা প্রাকৃতিক লবনাক্ত খাবার বর্জন করে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে।
সকালের খাবারের পর সবুজ চা এবং দুপুরের খাবারের পর কার্বনেটেড পানীয় পান। যেকোনো সময় আপনি অস্বস্তি বা ক্ষুধার্ত বোধ করলে এক গ্লাস সাধারন পানি পান করুন। এক্ষেত্রে তাজা লেবুর রস চিপে বা সবুজ চা বা অন্য কোনো ভিন্ন স্বাদের স্বাদ নিতে পারেন।
No comments:
Post a Comment