জ্বর খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, কিন্তু এ নিয়ে সবার আছে শঙ্কা। বিশেষ করে শিশুদের জ্বর হলে মা-বাবার ঘুম উবে যায়। অতিমাত্রার জ্বর বা শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি যে কারও জন্য ভীতিকর। আবার সাধারণ জ্বর নিয়ে অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা করারও কিছু নেই। এ বিষয়ে লিখেছেন ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী।
জ্বরে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়?
অনেকেই মনে করেন, শিশুদের জ্বর বাড়লে খিঁচুনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে—সব সময় এ ধারণা ঠিক নয়। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের অনেক সময় জ্বরজনিত খিঁচুনি হতে পারে, যা সাধারণত পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। আর এমনটা সব শিশুর হয় না, কারও কারও হয়। জ্বরের মাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে, তবেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
জ্বর হওয়া কি খারাপ?
জ্বর জীবাণুর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্রিয়ার একটি অংশ এবং নানা রকম রোগের বহিঃপ্রকাশমাত্র। জ্বর আসলে দেহের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া জীবাণু বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে। তাই জ্বর হওয়া মানেই খারাপ নয়।
শরীর গরম মানেই কি জ্বর
জ্বর জ্বর লাগে, শরীরটা গরম লাগে—এমন কথা বলার আগে আসলেই জ্বর কি না, তা থার্মোমিটারে দেখে নেওয়া উচিত। কেননা আমাদের শরীরের তাপমাত্রার স্বাভাবিক তারতম্য (৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হতে পারে। ভোরে তাপমাত্রা কম থাকে। বিকেলে ও সন্ধ্যায় বেড়ে যায়। ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রমের পর, শিশুদের খেলার পর বা অনেক কাঁদলে বা ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর গরম অনুভূত হতে পারে।
উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরই খারাপ?
সব সময় নয়। তাপমাত্রা উচ্চ হলেও ভাইরাস জ্বর মারাত্মক নাও হতে পারে, আবার স্বল্পমাত্রার দীর্ঘমেয়াদি জ্বর কোনো জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। জ্বর বেশি না কম, তার চেয়ে কারণটা কতটা জটিল, সেটাই বিবেচ্য।
অযথা আতঙ্ক নয়
জ্বর হতেই পারে। তাই জ্বরের শুরুতেই ঘাবড়ে যাবেন না। পানিশূন্যতা এড়াতে প্রচুর পানি ও তরল পান করুন। পুষ্টির দিকে নজর রাখুন। বিশ্রাম নিন। ভারী পোশাক খুলে হালকা ও আরামদায়ক কাপড় পরিয়ে দিন। শীত করলে মাঝারি ওমের কাঁথা বা চাদর ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানি কাঁপুনি বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শরীর মুছে দিতে বা স্পঞ্জ করতে স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা মাপার জন্য পারদের নয় বরং ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। প্যারাসিটামল জ্বর দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমাতে সক্ষম কিন্তু বারবার যথেচ্ছা ওষুধ খাবেন না। জ্বর সাত দিনের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হলে বা অন্যান্য উপসর্গ যেমন কাশি, শ্বাসকষ্ট, র্যাশ, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি জটিল আকারে দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
সুত্র : প্রথম-আলো
জ্বরে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়?
অনেকেই মনে করেন, শিশুদের জ্বর বাড়লে খিঁচুনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে—সব সময় এ ধারণা ঠিক নয়। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের অনেক সময় জ্বরজনিত খিঁচুনি হতে পারে, যা সাধারণত পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। আর এমনটা সব শিশুর হয় না, কারও কারও হয়। জ্বরের মাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে, তবেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
জ্বর হওয়া কি খারাপ?
জ্বর জীবাণুর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্রিয়ার একটি অংশ এবং নানা রকম রোগের বহিঃপ্রকাশমাত্র। জ্বর আসলে দেহের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া জীবাণু বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে। তাই জ্বর হওয়া মানেই খারাপ নয়।
শরীর গরম মানেই কি জ্বর
জ্বর জ্বর লাগে, শরীরটা গরম লাগে—এমন কথা বলার আগে আসলেই জ্বর কি না, তা থার্মোমিটারে দেখে নেওয়া উচিত। কেননা আমাদের শরীরের তাপমাত্রার স্বাভাবিক তারতম্য (৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হতে পারে। ভোরে তাপমাত্রা কম থাকে। বিকেলে ও সন্ধ্যায় বেড়ে যায়। ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রমের পর, শিশুদের খেলার পর বা অনেক কাঁদলে বা ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর গরম অনুভূত হতে পারে।
উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরই খারাপ?
সব সময় নয়। তাপমাত্রা উচ্চ হলেও ভাইরাস জ্বর মারাত্মক নাও হতে পারে, আবার স্বল্পমাত্রার দীর্ঘমেয়াদি জ্বর কোনো জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। জ্বর বেশি না কম, তার চেয়ে কারণটা কতটা জটিল, সেটাই বিবেচ্য।
অযথা আতঙ্ক নয়
জ্বর হতেই পারে। তাই জ্বরের শুরুতেই ঘাবড়ে যাবেন না। পানিশূন্যতা এড়াতে প্রচুর পানি ও তরল পান করুন। পুষ্টির দিকে নজর রাখুন। বিশ্রাম নিন। ভারী পোশাক খুলে হালকা ও আরামদায়ক কাপড় পরিয়ে দিন। শীত করলে মাঝারি ওমের কাঁথা বা চাদর ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানি কাঁপুনি বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শরীর মুছে দিতে বা স্পঞ্জ করতে স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা মাপার জন্য পারদের নয় বরং ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। প্যারাসিটামল জ্বর দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমাতে সক্ষম কিন্তু বারবার যথেচ্ছা ওষুধ খাবেন না। জ্বর সাত দিনের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হলে বা অন্যান্য উপসর্গ যেমন কাশি, শ্বাসকষ্ট, র্যাশ, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি জটিল আকারে দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
সুত্র : প্রথম-আলো
No comments:
Post a Comment