Pages

Sunday, December 22, 2013

স্বাস্থ্য সমস্যা বুঝতে, ত্বকের রঙ

স্বাস্থ্য সমস্যা বুঝতে, ত্বকের রঙ
নিজের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা বুঝতে নজর রাখতে পারেন ত্বকের রংয়ের উপর। জিহ্বা, হাত ও পায়ের তালু, নখ ও ত্বকের রঙে ফুটে উঠে ত্বকের ক্যান্সার, ডায়বেটিস, পরিপাকতন্ত্রসহ নানান জটিল রোগের লক্ষণ।


ত্বকের রং সাদা হওয়া
ত্বকের রং সাদা হওয়া

ত্বকের রং সাদা হওয়া : সাধারণত মেলানিনের অভাবে শরীরের ত্বক সাদা হয়ে যায়। মেলানিনের পরিমাণ কমে যাওয়াটা শরীরের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। তবে মেলানিনের অভাবে যখন শরীরে কোষ তৈরির হার কমে যায়, তখন ত্বকের রং সাদা হয়ে পড়ে। পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির জন্যও এই মেলানিন দায়ী। এমনকি দেহের বিভিন্ন কোষ যখন ভুল করে অন্য কোষকে খেয়ে ফেলে তখনও ত্বকের রং সাদা হতে পারে। তাই শরীরে মেলানিনের উপস্থিতি বাড়াতে অবশ্যই সূর্যস্নান করা উচিত।
জিহ্বা বেশি লালজিহ্বা বেশি লাল হলে : জিহ্বার রং স্বাভাবিক লাল হলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু যদি সেটা খুব বেশি লাল এবং ঘা থাকে, তবে বুঝতে হবে শরীরের ভিটামিন বি১২ এর অভাব আছে। ভিটামিন বি১২ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে কাজ করে। সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে ও মস্তিষ্কের কাজকে স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন বি১২। এছাড়া এই ভিটামিনের অভাবে মনস্তাত্ত্বিক নানান সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ফলে জিহ্বার রঙ খুব বেশি লাল দেখলেই  ভিটামিন বি১২ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। বেশি করে মাংস ও দুধ জাতীয় খাবার খেলেই ভিটামিন বি১২ এর অভাব দূর হয়ে যাবে। এছাড়া মাল্টিভিটামিনও হতে পারে এই ভিটামিনের বড় উৎস। আর বেশি সমস্যা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।


হাঁটু, হাত ও পায়ের পাতা হলুদ হলে : হাঁটু, হাত ও পায়ের পাতা হালকা হলুদ হলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। যা আপনার কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশংকা বাড়িয়ে দেয়। শরীরে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে বা লিপিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে হাঁটু, হাত ও পায়ের পাতা হলুদ রং ধারণ করে। পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ অতিরিক্ত চর্বি বহন করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্ষতিকর চর্বি ও কোলেস্টেরল দূর করার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের অভ্যাস। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীর চর্চা করলে এই ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।



নখের রং বাদামী হলে
নখের রং বাদামী হলে : জিহ্বা, ত্বক, হাঁটু, হাত ও পায়ের পাতার রং পরীক্ষার পাশাপাশি অবশ্যই নখের রংও পরীক্ষা করা উচিত। শরীরে মেলানোমার পরিমাণ কমে গেলে নখের রং বাদামী আকার ধারণ করে। মেলানোমার অভাবে মানুষের ত্বকের ক্যান্সার হয়ে থাকে। নখের রং অস্বাভাবিক বাদামী হতে শুরু করলে ডাক্তার দেখানো উচিত। সকালের রোঁদে নখ কাটলে ও নখ ভাল করে পরিষ্কার করলে মেলিনোমার পরিমাণ ঠিক থাকে। এছাড়া নখকে নরম রাখতে হবে। কোন ভাবেই নখকে রুক্ষ ও ফেটে যেতে দেওয়া উচিত না।

No comments:

Post a Comment