Pages

Friday, November 29, 2013

শীতে পা ফাটায় ঘরোয়া কয়েকটি সমাধান

এখন শীতকাল। আর শীতে আপনার ঠোট, ত্বক ও পায়ের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায় অত্যন্ত তীব্র ভাবেই। শীতকালের এ শুষ্কতার একটি বড় প্রভাব পড়ে আমাদের পায়ে। এসময় অনেকেরই পা ফেটে যায় যা সৌন্দর্য হানিকর। পা ফাটাঁর বিড়ম্বনা হতে নিজেকে রক্ষা করেতে জেনে নিন ঘরোয়া উপাদানে কয়েকটা চটজলদি ঘরোয়া টিপস। সুন্দর এক জোড়া পা পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো আপনার পায়ের নিয়মিত চর্চা। আর এ চর্চার জন্য ঘরোয়া উপাদানের তৈরি ফুট মাস্ক আপনার পায়ে লাগাতে পারেন।

পা ফাঁটা রোধের ঘরোয়া উপাদানগুলো হলোঃ

পা ফাঁটা রোধের ঘরোয়া উপাদান

লেবু,গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মাস্কঃ

প্রথমে একটি গামলায় গরম পানি নিয়ে তাতে কাঁচা লবণ, লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং কয়েকটি গোলাপ পাপড়ি যোগ করুন। এই পানিতে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য আপনার পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি ঝামাপাথর বা পায়ের স্ক্রাবার ব্যবহার করে, আপনার পায়ের নিচের দিকের ঘসে ঘসে পরিষ্কার করুন।
এবার গামলা থেকে পা তুলে পানি মুছে নিয়ে ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১কাপ গোলাপ জল এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিক্সিং করে মাস্ক তৈরি করে আপনার ফেটে যাওয়া পায়ে লাগিয়ে নিন। দিনে যদি পারেন দু বার পা ভালো করে পরিষ্কার করে গোড়ালিতে লাগিয়ে মোজা পরে নিন। দেখবেন রাতারাতি পা ফাটা চলে যাবে। এটা পা ফাটা রোধে অত্যন্ত কার্যকারী একটা মিশ্রণ।
ভেজিটেবল তেল

ভেজিটেবল তেলঃ

পা ফাঁটার প্রধান কারণ হলো শুকনো চামড়া। শুষ্ক ত্বকের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই বাড়িতে থাকা ভেজিটেবল তেল যেমন- সয়াবিন তেল, সূর্যমূখী তেল, বাদাম তেল ইত্যাদি প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। আপনার পা পরিষ্কার করে সম্পূর্ণরূপে তা শুকানোর পরে আপনার পায়ের ফাঁটা অংশে ভেজিটেবল তেল মেসেজ করে মোটা একজোড়া মোজা পরে নিন।প্রতিদিন সকালে পা ধোয়ার পর ভেজিটেবল তেল মেসেজ করে দেখুন ভালো উপকার পাবেন।

কলা এবং আভাকাডোর মাস্কঃ
কলা এবং আভাকাডোর মাস্ক

একটি পাকা কলা ভালো করে চোটকে নিন এবং গোড়ালি ও পায়ের ফাটাঁ অংশের উপর তা লাগিয়ে প্রায় ১০ মিনিট রাখুন এবং পা ধোয়ে ফেলুন । এছাড়াও আপনি একটি পাকা কলা ও আভাকাডো ব্যবহার করে বাড়ীতে পা মাস্ক তৈরি করতে পারেন। মাস্ক তৈরি করতে একটি পাকা কলা ও আধা আভাকাডো (সবুজ নারিকেলের নরম মাংস) নিন। একসঙ্গে একটি পাত্রে এ মিশ্রণটি মিশিয়ে আপনার পায়ে লাগিয়ে নিন। এই পেস্ট আপনার পায়ের ত্বকে কোমল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে।


পা ফাটা রোধে লেবুঃ
পা ফাটা রোধে লেবু


১৫-২০ মিনিটের জন্য গরম পানিতে পা ভিজিয়ে পরিষ্কার করে ১ টেবিল চামচ ভেজলিন এবং একটি লেবুর রস নিন। আপনার পায়ের ফাঁটা অংশসহ অন্যান্য অংশের উপর এই মিশ্রণ ভালো করে ম্যাসেজ করে একটি পশমী মোজা পরে নিন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ প্রয়োগ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা পরিষ্কার করে নিন উপকার পাবেন।


মধুঃ
পা ফাটায় ঘরোয়া সমাধান


মধু আপনার পায়ের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। একটি বালতির অর্ধেক পরিমান গরম পানিতে ১ কাপ মধু মেশান । প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য আপনার পা ঐ পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এবার পা পানি থেকে তুলে শুকিয়ে মোজা পরে নিন। নরম ও নমনীয় পায়ের জন্য এটা খুব ভালো কাজ করবে।

চাল গূড়োঃ
আপনার পায়ের স্ক্রাবিং এর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটা উপাদান হলো চালের গুড়া। স্ক্রাবিং পেস্ট করতে একটি বাটিতে চাল ৩-৬ টেবিল চামচ চালের গুড়া নিন এর সাথে মধু এবং আপেল কুড়িয়ে তা কয়েক চামচ যোগ করুন। এ স্ক্রাবিং পেস্ট দিয়ে আপনার পা ভালো করে স্ক্রাবিং করে নিন। এরপর ১০মিনিটের জন্য গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখুন এবং দেখুন আস্তে আপনার পা থেকে মৃত ত্বক কিভাবে পরিষ্কার হচ্ছে।

অলিভ তেলঃ
পা ফাটায় অলিভ তেল


ত্বক মসৃণ নরম সুস্থ্য রাখতে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উপাদান হলো অলিভ ওয়েল। জলপাই তেল, একটি ছোট বোতল মধ্যে লেবুর তেল বা ল্যাভেন্ডার তেল কয়েক ড্রপ নিয়ে যোগ করুন। এ থেকে ভালো ফল পেতে সঠিকভাবে মিশ্রিত করুন। এবার একটি তুলো বল করে এর সাহায্যে আপনি অলিভ তেলের এ মিশ্রণটি আলতো করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য বৃত্তাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আপনার পায়ে ম্যাসেজ করুন। এরপর পায়ে একজোড়া মোজা পরেন নিন এবং একটি ঘন্টা পর তা খুলে ফেলুন।

পা ফাঁটা রোধে প্রতি রাতে এই পদ্ধতিগুলো প্রযোগ করে দেখুন আপনা পা কি সুন্দর মসৃণ আছে। 
পাঠক বন্ধুরা শীতের এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ,ফ্রেস ফ্রুটস আর টটকা সব্জী খেতে ভুলবেন না যেন।

No comments:

Post a Comment