Pages

Monday, December 2, 2013

পুরুষদের ঘটানো যত বিরক্তিকর ঘটনা

পুরুষদের ঘটানো যত বিরক্তিকর ঘটনা
আপনার সঙ্গীটি হতে পারে আপনার চোখে বিশ্বসেরা, কিন্তু এটা প্রায় নিশ্চিত যে মাঝেমধ্যেই সে এমন সব বিরক্তিকর ঘটনা ঘটায় যা তার প্রতি আপনার অনুরাগকে রাগে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। সম্প্রতি পুরুষদের ঘটানো এমনই কিছু বিরক্তিকর কাজের তালিকা আর এ ধরনের বিরক্তি থেকে মুক্তির উপায় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

ক্রিং ক্রিং মোবাইল ফোন!

মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট বা প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের সময় হুঁশ-জ্ঞান না থাকা আপনার বিরক্তি তৈরি করতে পারে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় অযথা কাউকে বার্তা পাঠানো, মোবাইলে চ্যাটিং বা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখা যায় অনেক পুরুষকেই, যা সঙ্গীর বিরক্তি তৈরির জন্য যথেষ্ট।

এই শীতে চাই আর্দ্রতা

এই শীতে চাই আর্দ্রতা
শীতকালে প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিজেদের কিছু শারীরিক পরিবর্তনও টের পাই। এই সময়টায় ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, চুল শুষ্ক হয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে যায় ইত্যাদি। ত্বকের সঙ্গে মানানসই ক্রিম, তেল, সাবান, শ্যাম্পুর ব্যবহার, প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ ও জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তন আনার মাধ্যমে আমরা শীতকালেও শারীরিক এসব পরিবর্তনকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।
এ সময়ে ক্রিম, সাবান যা-ই ব্যবহার করবেন, লক্ষ রাখবেন তা যেন বাড়তি আর্দ্রতাযুক্ত হয়। দিনে অন্তত দুবার ক্রিম ব্যবহার করবেন। আলফা হাইড্রক্সি বা ভিটামিন-ই যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। গোসলের আগে শরীরে জলপাই তেল মাখতে পারেন অথবা গোসলের শেষে অল্প পানিতে কিছুটা জলপাই তেল দিয়ে গা ধুয়ে নিন। তারপর আলতো করে গা মুছে নেবেন।
অনেকের ধারণা শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। কেউ কেউ রোদ পোহাতে পছন্দ করেন। কিন্তু সূর্যের গামা রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। গামা রশ্মি ত্বকে দ্রুত বলিরেখা তৈরি করে। ত্বকে উপযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রোদে বের হওয়ার আগে শীতকালেও সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।

এই শীতে আর নয় পা ফাটা

এই শীতে আর নয় পা ফাটা
ত্বকেই হোক আর মেজাজে হোক রুক্ষতা কারও কাম্য নয়। তবে এ মৌসুমে ত্বকের শুষ্কতা আর ফাটার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচারও যে জো নেই। আমাদের নিজেদের অবহেলার জন্যই শীতের এই সময় শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তাই শীতের শুরু থেকেই পায়ের জন্য চাই বাড়তি পরিচর্যা
হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, ‘শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক বেশি শক্ত। শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরও বেশি শক্ত হয়ে পড়ে। এ থেকেই শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তবে পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।’
পায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে সব সময় বিউটি পার্লারে যেতে হবে, তা কিন্তু নয়। এই শীতে ঘরে বসেই আপনি পায়ের যত্ন নিতে পারেন। রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের কিছু পরামর্শ রইল।

Sunday, December 1, 2013

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার
বাংলাদেশের লাখো মানুষের কাছে হাঁপানি বা এ্যাজমা একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি। এদেশের প্রায় ৬০-৭০ লাখ লোক এ রোগে আক্রান্ত। অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে, হাঁপানী বা এ্যাজমার কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই, যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার দ্বারা হাঁপানীর উপসর্গের প্রকোপ বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়া যায় মাত্র, ঔষধ সেবন বন্ধা করে দিলেই সে উপসর্গ আবার দেখা দেয়। বর্তমানে এ ধারণাটি ভুল, কারণ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বর্তমানে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানীর অনেক অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়, তবে যথোপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁপানী নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। হাঁপানী রোগীদের সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থার আওতায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এ্যাজমা রোগীদেরকে মুখে খাবার ঔষুধের চেয়ে ইনহেলার বেশি ব্যবহার করতে দেয়া হয়। কারণ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কম পরিমাণ ঔষুধ লাগে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত শ্বাসকষ্টের পরিমাণ কমে যায়।

হাঁপানি রোগীদের জন্য দশটি সতর্কতা

হাঁপানি রোগীদের জন্য দশটি সতর্কতা
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। এতে আক্রান্ত রোগীর শ্বাসপথ দেহের ভেতরের বা বাইরের অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জেনসম পদার্থের প্রতি অত্যধিক মাত্রায় সংবেদনশীলতা প্রদর্শনপূর্বক অনেক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে এবং শ্বাসপথের সঙ্কোচনের সময়ের ব্যাপ্তি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে আক্রান্ত রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শ্বাসপথ দিয়ে বায়ুর স্বাভাবিক আসা-যাওয়া ব্যাহত হয়। পরিণতিতে আক্রান্ত রোগী কাশি, শ্বাসকষ্ট, স্বশব্দে কষ্টসহকারে শ্বাস নেয়া, বুকে চাপসহ নানা উপসর্গে ভুগে থাকেন।
বিংশ শতকের গোড়া থেকেই পৃথিবীতে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এই হাঁপানিজনিত শ্বাসকষ্টের কারণে বাড়িতে বা হাসপাতালে অবস্থান, স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা পেশাগত ক্ষেত্রে রোগীর সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে বিভিন্ন মেয়াদে অনুপস্থিতি, সর্বোপরি এই রোগে বহু রোগীর অকাল মৃত্যুতে আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর হাঁপানির প্রভাব অত্যন্ত মারাত্মক বলে স্বীকৃত।
অথচ একটু সচেতন হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক নিয়মিত ও উপযুক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবনের পাশাপাশি কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ গ্রহণ ও তা মেনে চলার মাধ্যমে হাঁপানি রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা না গেলেও তা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

নিম্নে হাঁপানি রোগীদের জন্য হাঁপানির যথাযথ নিয়ন্ত্রণকল্পে ১০টি সতর্কতামূলক পরামর্শ দেয়া হলো:
  •  ধুলাবালি ও ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলুন: ধুলাবালি ও ঠাণ্ডা হাঁপানি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে স্বীকৃত। কাজেই হাঁপানি রোগীরা রাস্তাঘাটে চলার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই সাথে ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলার পাশাপাশি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সর্দিকাশির যথাযথ চিকিৎসা নিন।